• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দেশ সেবায় আওয়ামী লীগকে সময় ও সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ জুন ২০১৭, ২৩:২২

প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগই পারে এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে দেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

তিনি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই উদীয়মান সূর্যের মতো বিশ্ব দরবারে এগিয়ে চলেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘কী পেলাম আর কী পেলাম না, সেটা বড়ো কথা নয়, জনগণের জন্য কতটুকু কী করতে পারলাম সেটাই বিবেচ্য বিষয়।’

কী পেলাম, আর পেলাম না- বঙ্গবন্ধু এসব নিয়ে কখনও ভাবতেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা তাঁর সারাটা জীবনই দুখী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে, তাদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য, তাঁদের ন্যূনতম মৌলিক সুবিধাটুকু নিশ্চিত করার জন্যই সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, বিশ্বের দরবারে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় এনে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি দলের জন্য মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণা করেন। যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার দাবিতে পরিণত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব অবকাঠামো গড়ে তোলেন।

অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর (বঙ্গবন্ধু) নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সেটা করতে পারেনি। কারণ সত্যের জয় হবেই। সত্য চির ভাস্বর। সত্য কখনো মুছে ফেলা যায় না। বিশ্বব্যাপী এটা প্রমাণিত।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশবাসীকে একটি সংবিধান উপহার দেন এবং প্রয়োজনীয় সকল আইন প্রণয়ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘হয় তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর ছিলেন, না হয় আদৌও তারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে মেনে নিতে পারেননি। অথবা স্বাধীনতা বিরোধীদের টাকা খেয়ে জাতির জনকের বিরুদ্ধে বদনাম দিয়ে তাঁকে হত্যা করার একটা গ্রাউন্ড তৈরি করেছিল বলে আমার ধারণা।’

প্রধানমন্ত্রী সেদিনের সেই সমালোচকদেরকে উদ্দেশ করে আরো বলেন, ‘তাদের অনেকেই আজ হয়তো বেঁচে নেই, আবার কেউ কেউ বেঁচেও আছেন। যারা বেঁচে আছেন হয়তো তারা এখন চিন্তা করবেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশের জন্য কী কী করেছিলেন।’

শেখ হাসিনা এ সময় আওয়ামী লীগ শাসনাধীন ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত সময়কে স্বর্ণযুগ আখ্যায়িত করে বলেন, তখনই কেবল দেশের জনগণ প্রথমবারের মতো জানতে পারে যে, সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ২০০৯ থেকে বর্তমানকালে, টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনায় দেশের অর্থনীতি,সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভবনটি ১০ তলা করা হবে। এতে আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়, কনফারেন্স হল, সেমিনার রুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, সাংবাদিক লাউঞ্জ এবং একটি ডরমেটরি থাকবে। আর পুরো ভবনটিতে ওয়াইফাই সুবিধা থাকবে।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ভবন নির্মাণ কাজের মূল তদারকিতে রয়েছেন।

সি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায় জিয়াকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ’
গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগ : মঈন খান
প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ঠা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান পরশের
পণ্যের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh