• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকার দেখবে’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ জুন ২০১৭, ১৬:০৯

সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আমরা একটা বিরাট ঝুঁকির মধ্যে আছি বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। এ প্রকল্পটির বিষয়ে জনমতকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে নেয়া হলে একসময় সুন্দরবনের ক্ষতির জন্য আমরাই দায়ী থাকব। আর ভবিষৎপ্রজন্ম অন্ধকার দেখবে।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ ও ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের যৌথ উদ্যোগে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি হলকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল একথা বলেন।

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি জানতে চান, কোন ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলা হচ্ছে। যারা ক্ষমতার দম্ভে সবকিছুকে ভিত্তিহীন বলে সেটাও কিন্তু দুর্নীতির মধ্যে পরে।

এ অঞ্চলের বন্যপ্রাণীকূল যারা খাদ্য হিসেবে মাছ গ্রহণ করে যেমন পাখি, সরীসৃপ ও বাঘ। এসব প্রাণীকে পারদ দূষণের ঝুঁকিতে ফেলবে। একই কারণে এখানে বসবাসকারী মানুষ যারা মাছ খেয়ে থাকেন তাদেরও পারদ দূষণের আওতায় নিয়ে আসবে।

গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের উন্নত দেশে পারদ নির্গতকারী প্রতিষ্ঠানে যত উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতিবছর ২২৩ কেজির অর্ধেক নির্গতই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অথচ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারদ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে অতটা উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না। তাই এর প্রভাব মানুষের ওপর প্রকটভাবে পড়বে।

সুলতানা কামাল বলেন, পাহাড়ের জীববৈচিত্র রক্ষায় একসময় পরিবেশবিদরা যে পরামর্শ দিয়েছিলেন সেটাও তখন ভিত্তিহীন বলা হয়েছিল। আজ আমরা যারা বলছি- রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য ক্ষতি হবে, তাকেও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এভাবে ভিত্তিহীন বলার পর যখন রামপালের কারণে ধীরে ধীরে সুন্দরবন উধাও হয়ে যাবে তখন তো তারাও থাকবেন না, আমরাও থাকব না। সেদিন কেউ আমাদের ধরতে পারবে না। কিন্তু ইতিহাসে আমরা দোষী হয়ে থাকব। বলা হবে এরা এই সুন্দরবন ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তবে ক্ষমতায় থেকে যারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করেন তারা তো সবকিছুকে ভিত্তিহীন বলতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপা ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের ডা. নাজমুন নাহার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসাইনসহ আরো অনেকে।

আর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh