• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্বপ্ন পূরণের আগেই চলে গেলেন তানভীর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০১৭, ১৫:৩৭

নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা আর নতুন একটি ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১০ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন ক্যাপ্টেন তানভীর সালাম শান্ত। কিন্তু হাতের মেহদীর রং না মুছতেই সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছেন তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে নববধূ ও তার পরিবারের কান্না যেন থামছেই না।

মঙ্গলবার রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের সময় মাটিচাপায় নিহত হন ক্যাপ্টেন তানভীর।সব স্বপ্ন পূরণের আগেই চলে গেলেন পরপারে। দুজন দুজনার একই পথে জীবনভর চলার স্বপ্ন থেমে যায় মুহূর্তেই। বছর না পার হতেই নববধূ নাজিয়াকে রেখে একাই চলে গেলেন।স্বামীর এ মৃত্যুকে কোনভাবেই যেনো মেনে নিতে পারছেন স্ত্রী নাজিয়া সুলতানা।

ক্যাপ্টেন তানভীর আহমেদ শান্ত পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিলম পরিবারের সন্তান। তার বাবা আবদুস সালাম মোল্লা ও ফাতেমা বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ে। নটরডেম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করে ২০০৯ সালে কমিশনন্ডপ্রাপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তানভীর।

গেলো বছর আইভেরিকোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পা ভেঙ্গে যায় ক্যাপ্টেন তানভীরের। সুস্থ হবার পর মাত্র কয়েক দিন আগেই আবার কর্মস্থলে ফিরে আসেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাপ্টেন তানভীরের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই বাড়িতে ছুটে আসতে থাকেন আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। সেসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা।

ক্যাপ্টেন তানভীর আহমেদ শান্ত ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর জয়পুরহাট জেলার মেয়ে নাজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা’র মাটিকাটা এমইএস’র বাসায় থাকতেন।

নিকট আত্মীয় ও এলাকাবাসীরা বলেন, তানভীরের সঙ্গে সবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। রমজানের আগে তিনি স্থানীয় মসজিদে টাইলস লাগিয়ে দেন এবং ইফতারি করার জন্যও টাকা পাঠান।

অজোপাড়া গায়ের প্রতিভাবান এই সেনাকর্মকর্তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তব্ধ হয়ে গেছে সিংহেরকাঠী পুরো গ্রাম। মৃত্যুর খবর পেয়ে মেধাবী ও প্রতিভাবান সেনাকর্মকর্তা তানভীরকে শেষবারের মত একবার দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন গ্রামবাসী। তানভীরের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আর/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh