বসুন্ধরা থেকে ১৯ জন উদ্ধার
রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমল থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেখানে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। জানালেন ফায়ার সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মিজানুর রহমান।
রোববার বিকেলে তিনি বলেন, একজন নারীসহ দুই দফায় এদের উদ্ধার করা হয়। সবাই সুস্থ আছেন। আমরা প্রথম দফায় ৮ জন এবং পরে ১১ জন উদ্ধার করি। ধোঁয়ার কারণে তারা বের হতে পারছিলেন না।
অন্যদিকে, বসুন্ধরা সিটির হেড অব মার্কেটিং জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ১১ জন কর্মী ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। এর মধ্যে তিনজন নারী ও আটজন পুরুষ। আমরা তাদের উদ্ধার করেছি। তারা সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে লেভেল ৮- এর সবগুলো পানির লাইন খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের ৬০-৬৫ জন কর্মী ভেতরে কাজ করছেন।
রোববার সোয়া ১১টায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে আগুন লাগে। ছয় তলায় জুতার দোকান থেকে এর সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিটের কর্মীরা।
পানি ছিটানোর জন্য শপিংমলের চার দিকের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে শপিংমলের ভেতর থেকে অধিকাংশকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।
পরে জানা যায়, ছয় তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুন অনান্য ফ্লোরেও ছড়িয়ে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হয়। এমতাবস্থায় সেখানে আটকা পড়াদের উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিটের কর্মীরা।
ওই সময় বসুন্ধরার আশেপাশে উৎসুক মানুষের ঢল নামে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবনের চারদিক ঘিরে রাখে নিরাপত্তা কর্মী। তবে মানুষের চাপে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। তাদের সহযোগিতা কামনা করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরই মধ্যে আশেপাশের সড়কে জটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ধীরে ধীরে ধোঁয়ার পরিমাণ বাড়ে। এজন্য হালকা বাতাসকে দায়ী করেন ফায়ার সার্ভিস। কর্মীরা বলেন, পেছনের ব্লক থেকে সামনের ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেন।
মন্তব্য করুন