• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একমাস পিছিয়ে ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে র‌্যাব

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৫৯

২৬ মার্চ ২০০৪ সাল। সন্ত্রাস দমনে গঠন করা হয় এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের সন্ত্রাসীদের কাছে সংস্থাটি হয়ে ওঠে আতংকের অপর নাম। অন্যবার ঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলেও এবার একটু ভিন্নতা আনা হয়েছে।

২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন না করে এক মাস পর ২৬ এপ্রিল বুধবার ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে এলিট ফোর্সটি। মূলত বাহিনীর গোয়েন্দা প্রধান সিলেটের জঙ্গি আস্তানার বাইরে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণে মারা যাওয়ায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পেছানো হয়।

সংস্থার সদর দপ্তরে করা হয়েছে ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আয়োজন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে এলিট ফোর্স র‌্যাবের। বাংলাদেশ পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাইকৃত কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় এ বাহিনী।

যখন ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ঠিক তখনই র‌্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় সরকার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রথমে গঠিত হয়েছিল র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম (র‌্যাট)। পরে পূর্ণাঙ্গ বাহিনী হিসেবে যাত্রা শুরু করে র‌্যাব।

প্রতিষ্ঠার পর নিজেদের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মাঠে নামে ১৪ এপ্রিল। বাঙালির বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। আর পরিপূর্ণ অপারেশন কার্যক্রম শুরু ওই বছরের ২১ জুন। ঢাকার উত্তরায় শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানকে ধরার অভিযান দিয়ে। আর তার ক্রসফায়ার ছিলো র‌্যাবের প্রথম বন্দুকযুদ্ধ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের ব্যাপক প্রসংশা অর্জন করে র‌্যাব। জঙ্গি দমন, মানবপাচার রোধ ও জলদস্যুদের প্রতিরোধ করে আত্মসমর্পণে বাহিনীটির অসামান্য কৃতিত্ব সর্বমহলে প্রশংসা অর্জন করেছে।

তবে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুন, ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও গুম-গুপ্তহত্যা নিয়ে সমালোচিতও হয়েছে সংস্থার কার্যক্রম। সম্প্রতি বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মানবাধিকার সংস্থার আপত্তিতে র‌্যাবের জন্য কেনা বেশ কিছু সরঞ্জাম আটকে দেয় সুইজারল্যান্ড।

প্রতিষ্ঠার সময় র‌্যাবের ইউনিট ছিলো সদর দপ্তরসহ ৭টি। জনবল ছিল ৫ হাজার ৫শ’ ২১ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে র‌্যাবের জনবল ও ইউনিটের সংখ্যাও। বর্তমানে ১৪টি ব্যাটালিয়নে অন্তত সাড়ে ১০ হাজার সদস্য কর্মরত রয়েছেন।

এইচটি/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh