রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান
আজ (শুক্রবার) পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। নতুন এ বছরকে বরণ করে নিতে রাজধানী ঢাকার রমনা বটমূলে চলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। গানে গানে, কবিতায়, বাদ্যযন্ত্রের মুর্ছনায় শুরু হয় নতুন একটি দিন, নতুন একটি বছর।
ভোরের আলো যখন ফুটতে শুরু করেছে তখন থেকেই দিকে দিকে বেজে ওঠে, এসো এসো হে বৈশাখ এসো এসো। অনেকেই সেই গান গাইতে গাইতে প্রবেশ করেন রমনা বটমূল চত্বরে।
সেখানে সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হয় বর্ষবরণ মূল উৎসব। ছায়ানটের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠান বর্ষবরণের সূচনা বলেই বিবেচিত।
এ বছর ছায়ানটের এই আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা।
‘আলোকের এই ঝর্ণা ধারায়’ গান দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। ১৯৬৭ সালে এ গান দিয়েই শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠান। গান গেয়ে সেই শুরুর বছরটিকে যেন স্মরণ করতে চাইলেন ছায়ানটের নবীন প্রবীণ শিল্পীরা।
এর পর একে আরো ৯টি সম্মেলক গান, ১৩টি একক গানের পরিবেশনা রয়েছে এ আয়োজনে। সম্মেলক কণ্ঠে শিল্পীরা আরো গাইবেন- ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগণে’, ‘ওরে বিষম দরিয়ার ঢেউ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘ভোরের হাওযায় এলে ঘুম ভাঙাতে’, ‘একি অপরূপ হৃপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী’, ‘উদয়শিখরে জাগে মাভৈ মাভৈ’, ‘তোমার আনন্দ ওই এলো দ্বারে’, ‘আনন্দেরই সাগর হতে’, ‘আপন কাজে অচল হলে’, ‘আজি রক্ত নিশি ভোরে’, ‘আমাদের নানান মতে’, ‘আমি টাকডুম টাকুডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’।
এ আয়োজনে রয়েছে ৪টি আবৃত্তি। এতে অংশ নেন সৈয়দ হাসান ইমাম, আসাদুজ্জামান নূর, ইফফাত আরা দেওয়ান ও শাহীন সামাদ। ছায়ানট সভাপতি ড. সানজিদা খাতুনের কথন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব। এর পর নেত্রকোণার দিলু বয়াতি ও তার দলের লোকপালা ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রভাতী আয়োজন শেষ হবে।
এপি/জেএইচ
মন্তব্য করুন