• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধর্ম ও পহেলা বৈশাখের মধ্যে বিরোধ নেই : প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ এপ্রিল ২০১৭, ২২:০২

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে সম্পূর্ণ বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে অভিহিত করে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ সম্পূর্ণভাবে বাঙালি সংস্কৃতি। বাঙালি যুগ যুগ ধরে এ উৎসব পালন করে আসছে। ধর্মের সঙ্গে এ উৎসবের কোনো বিরোধ খোঁজার চেষ্টা করা কারোর উচিত নয়।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হাতিরঝিলে গ্রান্ড মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন অ্যান্ড এম্পিথিয়েটার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্যান্সিং ফাউন্টেন ও অ্যাম্পিথিয়েটার উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ যাতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পহেলা বৈশাখ হচ্ছে একমাত্র উৎসব যা সব ধর্মের মানুষ একত্রে উদযাপন করে। তিনি বলেন, মোগল আমলে সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু করেন। সে সময় থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে এবং বর্তমানে তা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ সম্পর্কিত। এ দিনে ব্যবসায়ীরা হালখাতা খোলার মাধ্যমে নতুন করে ব্যবসা শুরু করে এবং এ উপলক্ষে দিনটিকে উৎসবে পরিণত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর কাছে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়। মাটি দিয়ে হাতি, ঘোড়া, থালা-বাসন এবং কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি করা বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তিনি বলেন, এভাবে মানুষের বিনোদনে আজিমপুর, নিউমার্কেট ও পলাশীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং দেশের অন্যান্য স্থানেও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধারায় গড়ে উঠেছে বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য।

ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গ্রান্ড মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন ও অ্যাম্পিথিয়েটার হচ্ছে নগরবাসী ও দেশবাসীকে তাঁর নববর্ষের উপহার। এই অ্যাম্পিথিয়েটার ও ড্যান্সিং ফাউন্টেশনের দর্শক ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ২ হাজার। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক ও ঢাকা ওয়াসার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈয়ী মোহাম্মদ মাসুদ প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী ও এলজিআরডি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

সি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির
ঢাকায় কাতারের আমির, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আজ
বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হচ্ছে পাঁচ চুক্তি
সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh