• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা যে যেখানে

অনলাইন ডেস্ক
  ১৫ আগস্ট ২০১৬, ১৪:৫০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। অপর সাতজনের মধ্যে ছয়জন এখনো বিদেশে পলাতক। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আবদুল মাজেদ।

সরকারের তথ্য মতে, রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় রয়েছেন। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আব্দুল মাজেদ ও মোসলেম উদ্দিন সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই।

তবে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, খন্দকার আবদুর রশিদ কখনো পাকিস্তানে, কখনো লিবিয়ায় থাকছেন। শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে, আবদুল মাজেদ সেনেগালে রয়েছেন।

তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি রয়েছে। দণ্ডিত অপরজন আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জাতি ১৫ আগস্ট ৪১তম জাতীয় শোক দিবস পালন করছে। জামার্নিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা রিসালদার মোসলেম উদ্দিনকে সে দেশে দেখেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১২ খুনির মধ্যে পলাতক ছয়জনকে দেশে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, যদিও তারা কোথায় লুকিয়ে আছে সে ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

আইজিপি একেএম শহীদুল হক জানান, মোসলেম উদ্দিনকে শনাক্ত করতে এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কাছে ছবি পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটি বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অবস্থান জানতে আরো তথ্য চেয়েছে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের সর্বোচ্চ সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পুলিশকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সরকারগুলো খুনিদের বিচার না করে বিভিন্ন সময় পুনর্বাসন করেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিদেশে অবস্থানরত কূটনৈতিক মিশনে চাকরিও দেন।

তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে ২০১০ সালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের দণ্ড কার্যকর হয়।

এ রায় কার্যকরের আগে ২০০১ সালে আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh