খেতাব ও পদক বর্জন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল এবং আবদুল হাকিম
১৪ মার্চ ১৯৭১ এ দিনে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে কিছু নতুন মেরুকরণ হয়। এদিন লেখক সংগ্রাম শিবিরের উদ্যোগে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে এক সভায় দেশের সবস্তরের জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানো হয়। জনতার বাঁধভাঙা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাস্তায় নেমে আসেন বাংলার লেখক, শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকরা।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন এবং সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য আবদুল হাকিম পাকিস্তান সরকারের দেয়া খেতাব ও পদক এই দিনে বর্জন করেন।
এ দিন সকালে ন্যাপ সভাপতি খান আবদুল ওয়ালী খান ও ন্যাপ নেতা গাউস বক্স বেজেঞ্জা বিমানে করাচী থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকা বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমি খোলামন নিয়ে ঢাকায় এসেছি। সামরিক শাসন প্রত্যাহার ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পর্কিত শেখ মুজিবুর রহমানের দাবির প্রশ্নে তার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত।'
পরে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধু এবং ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খান প্রায় দেড় ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এলে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছি’
এদিকে, পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার এবং পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর রসদ সরবরাহ ঠেকাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি চেকপোষ্ট বসানো হয় ।
এদিন করাচীতে এক জনসভায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভুট্টো বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের দাবি অনুযায়ী পার্লামেন্টের বাইরে সংবিধান সংক্রান্ত সমঝোতা ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হলে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানে আলাদভাবে দু’টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।’
অন্যদিকে, এদিন বাংলাদেশের খাদ্যশস্যবাহী একটি জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম থেকে করাচী নিয়ে যাওয়া হয়।
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন